BPL's overseas players not fully paid

 As many as 13 English county cricketers played in the inaugural Bangladesh Premier League (BPL) have not been fully paid even in five weeks after the competition was over, a British daily has said.

The Telegraph said the cricketers owed a combined £500,000 in unpaid wages for appearing in the competition.

When approached by bdnews24.com, BPL governing council president Gazi Ashraf Lipu said the report is "not completely true". "It is true that all the foreign players are not fully paid yet. But I hope the payment will be completed in a week."

Cricketers appearing in the BPL in February were supposed to receive money from $25,000-$75,000 based on their contracts. The Telegraph said none has been paid their full fees with a fraction having received up to 50 percent of the contract money.

"The contract was brokered by FICA (international players union) and set out the players should get 25 per cent before the start of the tournament, 50 per cent during it and 25 per cent at the end," Angus Porter, chief executive of the Professional Cricketers' Association told The Telegraph.

"A handful have received 75 per cent, but most only 25. I don't know of anyone who has received the full payment," he added.

The reported quoted him as saying that the problem was concerned not only with the cricketers from England but also from all nations. He observed if the Bangladesh Cricket Board is seeking to build long-term relationships with players and want them to come back and play next year then the problem should be resolved immediately.

"I don't know what is going on behind the scenes but I do have a concern that this may be something more than a delay," added Porter.

The Telegraph said Porter thought the tournament's reputation was being compromised by not making timely payment to the cricketers, who were completely frustrated over the unexpected development.

He also hinted that the players may go ahead with legal action if the payment is not paid immediately.

"Events like this receive official backing from the ICC and there they should be made to conform to minimum standards in operational areas," Porter was further quoted as saying.

"We have seen correspondence from the BCB promising payments will be made but at this stage the players are just fed up and think they will not be paid anything."

When asked, Lipu said, "As far I know, some payments to British players have already been made. Letters have been issued to the franchises for paying up the outstanding wages in a week."

"There was a problem regarding bank permission in this regard. But the permission has been obtained and there is no problem anymore," he added.

PCB refuses to move to BCB`s allegations on Asia cup

Refusing to react to the allegations by the Bangladesh Cricket Board (BCB) that pacer Aizaz Cheema had indulged in unsporting behaviour during the Asia Cup final against Bangladesh, the Pakistan Cricket Board said it has full faith in the match officials who had conducted the final.

Chasing 237 for a victory in the Asia Cup final in Mirpur on Thursday, Bangladesh fell short by two runs as they needed four from the last delivery. But the BCB later said that it would complain to the Asian Cricket Council (ACC) that Cheema had deliberately blocked hosts batsman Mahmudullah Riyad when he tried to come back for a run during the tense chase.

However, the Chief Operating Officer of the PCB, Subhan Ahmed said that the match officials of the final game were competent enough to take decisions on such incidents.

"I think under the current rules and regulations of the International Cricket Council (ICC), the match officials are competent to take a decision on such incidents and we will only follow them," said Ahmed.

The COO also expressed surprise at Bangladesh`s late reaction.

"It is surprising to us because they said nothing after the final and now they are saying they will appeal to the ACC, two days after the final," pointed out Ahmed.

The PCB official also said he was not aware if the ACC or the ICC would even entertain any appeal from the BCB regarding the incident as so many days have passed since the Asia Cup final was played.

Ahmed though insisted that even if Bangladesh appealed to the ACC or the ICC, it would not affect the relationship between the two boards.

"It is their prerogative and opinion on what they think and want to do. We don`t think even if they appeal it will lead to any dent in relations," he said.

Earlier, the BCB had said that it was planning to appeal with the ACC to award five penalty runs to the Bangladesh team and reverse the result of the Asia Cup final.

"We have repeatedly seen video recordings of the incident and are convinced Cheema tried to block Mahmudullah," Enayet Hossain Siraj, the chairman of the BCB cricket operations committee, told reporters in Dhaka on Saturday.

Meanwhile, Ahmed made it clear that the PCB`s invitation to the BCB to send its team to Pakistan next month for a three-match ODI series and the latter`s stance on the final game of the Asia Cup were two different issues.

"We are still waiting for some response from them on the tour but they have said they are seeking government clearance without which the tour will not be possible," explained Ahmed.

The BCB has delayed a decision on whether to tour Pakistan, even though its security delegation visited the country earlier this month and said it would submit a report to its government within a week.

নিয়তির পরিহাষে বরণ করে নিলাম চোখের জ্বল


এই বোবা কান্না কেউ শুনবেনা, রয়ে যাবে এই ক্ষত চিরকাল
 প্রতিটি বাঙ্গালির বুকে।


জমে থাকা নোনা জল যখন ছলকে বেরিয়ে এলো মুশফিকের চোখ বেয়ে, যখন মায়াবী বিভ্রমের আভাটুকু ছাপিয়ে সাকিব কেঁদে ফেললেন নীরবে, যখন পুরো গ্যালারি থেকে বোবা কান্নার গোঙানি শোনা যাচ্ছে; বুকে হাত রেখে বলতে পারবেন কি, তখন আপনিও লুকিয়ে চোখ মোছেননি, ক্ষরণ হয়নি ভেতরটা! অজান্তেই দুটি হাত এক হয়ে যায়নি প্রার্থনার জন্য। ১০ বলে ১৫, ৬ বলে ৯ করে শেষ বলটি পর্যন্ত স্নায়ু শক্ত করে রাখার পরও ২ রানের হারটা কাঁটার মতো গেঁথে থাকেনি! যে ক্ষণটি হতে পারত মহাকাল থেকে আলাদা করে রাখার মতো, যে রাতটি হতে পারত অমর এবং পার্থিব, সে রাতে পাকিস্তানের কাছে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট তুলে দিয়েছিলেন মুশফিকরা চোখের জলে। হয়তো ক্রিকেটের অঙ্কের কাছে ম্যাচটি দুটি রানের জন্য হেরেছেন এগারো বাংলাদেশি। কিন্তু ভুবন মোহিত হয়েছিল এই রাতে সাকিব-তামিমদের লড়াইয়ের জেদ দেখে। যুদ্ধের ময়দানে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মাটি আঁকড়ে পড়েছিলেন একদল বাঙালি। আর তাই, চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি বাংলাদেশ, এটা বলার কোনো উপায় নেই চ্যাম্পিয়ন হয়নি বলার আগে। হয়তো প্রথম হতে পারেনি বাংলাদেশ, হয়তো ট্রফি জিতে ইতিহাস গড়া হয়নি তামিমদের, কিন্তু এশিয়ার
দ্বিতীয় এখন বাংলাদেশই। স্বপ্ন পূরণ হয়তো হয়নি ঠিকই, নতুন একটা স্বপ্নের বুনন নিশ্চয় হয়েছে গত রাতে মিরপুরের ময়দানে। ক্রিকেটপ্রেমী বাংলাদেশিরা তাই দেবদাস হতে পারবেন না, নতুন প্রেমে উজ্জীবিত হয়েই জয়ধ্বনি দেবেন মুশফিকদের এ দলটিকে।
দিয়েও ছিল তাই। ম্যাচের পর যেখানে এসে শুধুই প্রশ্নবাণের মুখে পড়তে হয় মুশফিকদের। সেখানে এসে গত রাতে চ্যাম্পিয়নের বরণ শুভেচ্ছা পেয়েছিলেন মুশফিক। দেশি-বিদেশি সাংবাদিকরা উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে বদলে যাওয়া বাংলাদেশকেই চ্যাম্পিয়নের পুরস্কার দিয়েছেন। 'এত কাছে এসে হেরে যাব ভাবতে পারিনি। পুরো দেশ আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল। সবাই প্রার্থনা করেছিল, কিন্তু পারলাম না। সেটা মনে পড়তেই নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি। হয়ত সে কারণেই কেঁদে ফেলেছি। তবে এ হারার পর আমরা ড্রেসিং রুমে শপথ নিয়েছি এখান থেকেই শুরু হলো আমাদের নতুন যাত্রা। আর পিছিয়ে থাকব না আমরা।' চোখ দুটো তখনও লাল ছিল মুশফিকের। মুশফিকদের এ অবস্থা দেখে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররাও কিছুটা আবেগী হয়ে যান। কাঁদতে থাকা আনামুল হক বিজয়কে জাপ্টে ধরে সান্ত্বনা দিতে থাকেন আজমল। আফ্রিদি এসে বুকে জড়িয়ে নেন নাসির হোসেনকে। হাফিজ এসে মিডিয়ার সামনে বলে দেন ক্রিকেটের নতুন এক শক্তির জন্ম হলো যার নাম বাংলাদেশ। 'সারা বিশ্ব ফাইনালের মতো একটা ফাইনাল দেখেছে। শেষ ওভারগুলো আমাদের বোলাররা নার্ভ শক্ত রেখে ম্যাচ জিতিয়েছে। বাংলাদেশও দেখিয়ে দিয়েছে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে জানে।'
নিজেরা একটু ধাতস্ত হয়ে প্রিয় ক্রিকেটাদের সান্ত্বনা দিয়েছিল মিরপুরের গ্যালারিও।
চোখ মুছে যখন সাকিব সিরিজ সেরার পুরস্কার নিতে এসেছিলেন, তখন মনভাঙা গ্যালারিও সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে 'সাকিব ... সাকিব...' ধ্বনি তুলেছিল। শেষ ওভারে যখন মাহমুদুল্লাহ আর আবদুর রাজ্জাক আইজাজ চিমার চোখের দিকে তাকিয়ে হাত শক্ত করে ব্যাট ধরেছিলেন, তখন মাঠে উপস্থিত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের পাশে বসে থাকা প্রধানমন্ত্রীর হাতও টেনশনে গালে ভর দিয়েছিল। বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াও ছিলেন দ্বিতীয় ইনিংসের সময়। গোটা দেশই সঙ্গে ছিল মুশফিকদের। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচটিকে দু'হাতের তালু দিয়ে ষোলো কোটি বাংলাদেশিই বাঁচিয়ে রেখেছিল। যখন সাকিব আউট হয়ে গেলেন তখনও ৩৮ বলে ৫৮ রানের দরকার ছিল। ভরসা ছিল মুশফিকে। আজমলকে একটা বাউন্ডারি মেরে যখন মুশফিকও প্যাভিলিয়নে ফিরলেন, তখনও মনটা শক্ত ছিল মিরপুরের গ্যালারির। আশা ছিল মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে। উমর গুলের এক ওভারে ১৪ রান নিয়ে মাশরাফি আশাটা জীবন্ত করে তুলেছিলেন। মিরপুরের আকাশ কাঁপিয়ে গোটা বাংলাদেশই তখন প্রকম্পিত হয়েছিল, কিন্তু ৯ বলে ১৮ রান করা মাশরাফি আউট হয়ে যেতেই বোবা হয়ে যায় সবকিছু। ১৪ বলে ১৯ রানটা তখনও খুব সম্ভব মনে হয়েছিল। মিসবাহ ,আফ্রিদি, আজমল আর গুল_ সবার মুখ আতঙ্কে লাল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১৬ বলে ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি। নিজে স্ট্রাইক নিতে পারেননি। তারপরও শেষ ওভারে যখন চিমার একটি নো বল থেকে তিন রান চলে আসে, তখন মনে হয়েছিল সৌভাগ্যের রাত অপেক্ষা করছে বাংলাদেশিদের জন্য। শেষ বিকেলে আটকে থাকা একটি কাঁটা কিছুতেই আর বের করা যায়নি বাঘের গলা থেকে। শেষ ওভারে শাহাদাত হোসেন রাজিবের দেওয়া ১৯ রানটাই বাধা হয়ে দাঁড়াল ঐতিহাসিক একটি ঘটনার সাক্ষী হতে।
অথচ বাঘের মতোই হুঙ্কার দিয়ে দিনটি শুরু করেছিলেন মুশফিকরা। উইকেটে ২৩৬ রানের মধ্যেই বেঁধে ফেলেছিলেন পাকিস্তানিদের ইনিংস। এই রান তাড়া করতে নেমে অতি সতর্ক নাজিমউদ্দিন আদতে দলকে বিপদেই ফেলে দেন। হাফিজ থেকে শুরু করে উমর গুল, সাঈদ আজমল কিংবা আইজাজ চিমা_ কারও সামনেই পছন্দের ফ্লিক শট খেলতে পারছিলেন না নাজিমউদ্দিন। একবার এলবিডবি্লউর জোরালো আবেদন, আর একবার ক্যাচ থেকে লাইফ লাইন পেয়ে নাজিম যখন আউট হলেন, তখন তার নামের পাশে ১৬ রান, ৫২ বলের খরচে। রান টানের সংসারে নাজিমউদ্দিনের এই অতি সতর্কতা তামিমের ভেতরের জমে থাকা আগুন বাড়িয়ে দিয়েছিল। উমর গুলকে পয়েন্ট আর কভারের মধ্য দিয়ে বাউন্ডারি ছাড়া করে কব্জির জট খুলেছিলেন। এরপর একের পর এক পয়েন্ট আর এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে বাজির মতো চার ছোটাতে থাকেন। কিন্তু তাকে বিদায় নিতে হয় ৬৮ বলে ৬০ রানের একটি ক্লান্ত শট খেলে। তামিম ছাড়াও সাকিবের ৬৮ রানের ইনিংসটিতে জয়ের গন্ধ মাখা ছিল। কিন্তু আগের ম্যাচগুলোর মতো এদিনও সাকিব ফিনিশ করতে পারেননি। যিনি করতে পারতেন সে নাসির হোসেনকে এদিন যথেষ্ট ক্লান্ত মনে হয়েছে। শুরুতে পাকিস্তানি ফিল্ডাররা নাসিরের কিছু ভালো শট আটকে দিয়ে তাকে ঘাবড়ে দেন। এরপর সিঙ্গেলসও যেন বের করতে পারছিলেন না তিনি। ৬৩ বলে ২৮ রান করে নাসির যখন আউট হন, তখন দল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো অবস্থায় চলে গেছে। যে কি-না রক্ষা করতে পারতেন সেই মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ সেটা পারেননি। লোয়ার অর্ডারদের স্ট্রাইক কম রেখে নিজে বেশি নিতে পারেননি। এদিন ভাগ্যের সঙ্গে পাকিস্তানিদের কূটকৌশলও হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। শেষ ওভারে আইজাজ চিমা শরীর দিয়ে মাহমুদুল্লাহকে ঠেকিয়ে রেখেছিলেন দুই রান নিতে।
তবে অন্যের দোষ দিয়ে যন্ত্রণাটা কমানো যেতে পারে, অভিমানটা কিন্তু থেকে গেল নিজেদের ছেলে শাহাদাত হোসেন রাজিবের ওপরই। এমন একটা শোকের সমাপ্তির জন্য অনেকেই খলনায়ক বানিয়েছেন তাকে। অথচ দিনের শুরুটা হয়েছিল ভাগ্যের হাত ধরেই।
দুুপুরে যখন টস জিতে হাসি দিল, তখন রমিজ রাজাও জানতেন কী চাইবেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আগের তিনটি ম্যাচে প্রথমে বোলিং করে প্রতিপক্ষকে যে ভয় ধরিয়েছিল বাংলাদেশ। সেটা জেনেই এদিনও জাতীয় সঙ্গীতের সুরে বুকে হাত রেখে নতুন বলটা তুলে দিয়েছিলেন মাশরাফির হাতে। প্রথম ওভারেই দুটি এলবিডবি্লউর আবেদনে কেঁপে উঠেছিল গ্যালারি। তাতে ইংলিশ আম্পায়ার গোল্ডের আঙুল নড়েনি। নাজমুলের একটি নিশ্চিত আবেদনও বাতিল হয়ে যায় আম্পায়ারের অদূরদর্শিতার কারণে। রিপ্লেতে পরিষ্কার ধরা পড়ে ৫ রানে থাকা মোহাম্মদ হাফিজের পা স্টাম্প ঢেকে রেখেছিল। আম্পায়ারের ন্যায়বিচারের জন্য তখন অপেক্ষায় না থেকে মাশরাফি নাসির জামশেদকে কাভারে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছিলেন। পরের ওভারে নাজমুলও পাল্লা দিয়ে উইকেট শিকার করেছিলেন এবং সেটা যেনতেন উইকেট নয়, পাকিস্তানের ব্যাটিং স্তম্ভ ইউনিস খানকেই একটি ইনসুইঙ্গার দিয়ে এলবিডবি্লউ করেছিলেন নাজমুল। ১৯ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ায় পাকিস্তানিদের 'প্ল্যান ওয়ান' ভেস্তে যায়। যেখানে তারা প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে মাত্র ৪৩ রান তুলতে পারে। যার মধ্যে আবার একটা লাইফ লাইনও পেয়ে যান হাফিজ। মাশরাফির বলে পয়েন্টে ক্যাচ তুলেও জহুরুলের হাত ফসকে বেরিয়ে যান হাফিজ। মাশরাফি আর নাজমুল তাদের প্রথম স্পেল শেষ করার পর মুশফিক থলে থেকে রাজ্জাক আর শাহাদাত হোসেন রাজিবকে বের করে আনেন। রাজ্জাকের আর্মারগুলোই তখন বেশি বেগ দিয়েছিল পাকিস্তানিদের। ১০ থেকে ২২ ওভার পর্যন্ত কোনো বলই বাউন্ডারি পাঠাতে পারেননি কেউ। তবে সতর্কতার সঙ্গে সিঙ্গেল বের করে আনার ব্যাপারে যথেষ্ট মনোযোগী ছিলেন তারা। আর সেটা করতে গিয়েই পাকিস্তানি অধিনায়ক মিসবাহ-উল হককে রান আউট হতে হয় ১৩ রানে। পয়েন্ট থেকে পাখির মতো ছোঁ মেরে বলটা ধরেই সরাসরি থ্রো করে উইকেট ভেঙে দেন নাসির। মিসবাহর বিদায়ের পর ৮৭ বলে ৪০ রানে থাকা হাফিজকে মিড অনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন রাজ্জাক। প্রথম স্পেলে ৭ ওভারে তিন মেডেনসহ ১১ রান দিয়ে রাজ্জাক বোলিংয়ে বিশ্রামে যান।
অন্যদিকে শাহাদাতের হাফভলি বলগুলোকে তখন মজা করে গিলছিলেন হাম্মাদ আজম। নো বলের বোনাস ফ্রি হিট থেকেও ছক্কা হাঁকিয়ে বসেন হাম্মাদ। উমর আকমলও তার সঙ্গে ছক্কা হাঁকানোর ছন্দে মাতেন। সাকিবকে ডিপ মিড উইকেট দিয়েও বাইরে পাঠিয়ে দেন আকমল। দু'জনের এই জুটি অবশ্য ভেঙেছিলেন সাকিব। ৩০ রানে থাকা হাম্মাদ সুইপ করতে গেলে সাকিবের হাতেই ক্যাচ দিয়ে বসেন। সাত বল পর উমর আকমলও প্যাভিলিয়েনের পথ ধরেন। মাহমুদুল্লার বল লেগ স্কয়ারে ঠেলতে গিয়ে মুশফিকের গ্গ্নাভসে আটকা পড়েন আকমল। ১৩৩ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর কাঁপতে থাকা পাকিস্তানিদের মাঠের ১১ বাংলাদেশির সঙ্গে ছাবি্বশ হাজারের গ্যালারি চেপে ধরেছিলেন।
কিন্তু পেশাদারিত্বের চরমে পেঁৗছানো শহিদ আফ্রিদি দলকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে এসেছিলেন সাকিব আর রাজ্জাককে পরপর চারটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে। মাশরাফিকেও লং অফ দিয়ে ছক্কা ছাড়া করেছিলেন। অসাধারণ এই আফ্রিদিকে সাকিব থামিয়েছিলেন তার সাধারণ একটি ফুলটস বল দিয়ে। ২২ রানে ৩২ রান করা আফ্রিদি লং অফে নাসিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে জায়ান্ট স্ক্রিনের দিকে রিপ্লে দেখার জন্য ঘুরে তাকিয়ে হাঁটা ধরেন। ৪২ ওভারে ৭ উইকেট খোয়ানো পাকিস্তানের রান তখনও দুশ' হয়নি। এরই মধ্যে দুর্ঘটনা একটা ঘটে যায়। দলের অন্যতম প্রধান অস্ত্র নাজমুল পুরো রানআপ নিয়ে শেষ মুহূর্তে স্লোয়ার করতে গিয়ে গোড়ালি মচকে মাটিতে পড়ে যান। এরপর শেষ দুটি ওভারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শাহাদাত হোসেন রাজিবের কাছে। টেলিভিশনে খেলা দেখা সব দর্শকই জানেন, ইনিংসের শেষ ওভারে কতটা বেহিসেবি পাড়ার বোলারদের মতো বোলিং করেছেন রাজিব। ফুলটস, হাফ ভলি, নো বল, রান আউট মিস_ কী করেননি তিনি ওই ওভারে। যার খেসারত দিতে হয় দলকে ১৯ রান দিয়ে।
বিরক্ত মুশফিক তখনই বলটি মাটিতে আছড়ে মেরে রাজিবের দিক থেকে চোখ সরিয়ে নিয়েছিলেন। মাশরাফি এসে পরে রাজিবকে ডেকেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সবাইকে জানিয়েছিলেন_ 'এক ওভারেই ম্যাচ শেষ হয়ে যায় না। আমরা পারব।
শেষ ওভারের যন্ত্রণাটা শেষ পর্যন্ত যন্ত্রণাই থেকে যায়। ৮ উইকেটে ২৩৪ রানে থেমে গিয়ে ভেঙে যায় বাংলাদেশের স্বপি্নল একটি রাত। এরপর মিরপুরের লেজার শো হলেও তাতে মায়া ছড়ায়নি, বাজির ফোয়ারেতেও রোশনাই ফোটেনি। যে মাঠ তীর্থস্থান হতে পারত মুশফিকদের জয়ে, মিরপুরের সেই মাঠকেই রাতে কমিউনিটি সেন্টার মনে হয়েছে। যেখান থেকে কাপ জিতে বাজি ফুটিয়ে দেশে চলে যাবে আফ্রিদিরা।

Pakistan rate Bangladesh to win Asia Cup-2012

asia cup-2012 winner Pakistan
Bangladesh's hopes of winning their maiden trophy went up in smoke as Pakistan beat them by two runs in a last-ball nail-biter to win the Asia Cup at the Shere Bangla National Stadium here on Thursday.
Despite half centuries by Tamim Iqbal (60) and Shakib Al Hasan (68), Bangladesh could not overhaul the 237-run target set by Pakistan. Cameos by Mashrafe Mortaza (18) and Mahmudullah (17 not out) at the end were not enough to take the home side over the finish line.
AP Photo
Aizaz Cheema kept his cool in the final over, giving away six runs when the hosts needed nine for victory. The paceman went for 46 in his 7 overs, but picked up three crucial wickets for his side. Saeed Ajmal and Umar Gul also took two wickets each.
Earlier, a disciplined Bangladesh restricted Pakistan to a below-par 236 for 9. Abdur Razzak, Shakib and Mortaza shared two wickets each for the home side.
For Pakistan, wicketkeeper batsman Sarfraz Ahmed top-scored with an unbeaten 46. Opener Mohammad Hafeez, too, contributed with 40, but it was more a grind as he took 87 balls to get those runs. Shahid Afridi also played a 32-run cameo.
Pakistan started off on the wrong foot, losing the wickets of Nasir Jamshed (9) and Younis Khan (1) inside 6 overs. Mohammad Hafeez and Misbah-ul-Haq (13) tried to rescue the sinking ship with a 36-run partnership for the third wicket. But the run out of Misbah gave Bangladesh another opening. Hafeez was playing patiently till he attempted to clear Razzak over mid-on, getting caught by Nazmul Hossain.
Youngsters Umar Akmal (30) and Hammad Azam (30) strung a 59-run stand but with their departure, in quick succession, Pakistan once again found themselves under the pump. Sarfraz, who was drafted into the side in place of paceman Wahab Riaz, took most of the strike in the latter overs as he stretched Pakistan score well past 200.
A sloppy final over by Shahadat Hossain produced 19 runs and gave Pakistan a decent total to defend.

Asia cup2012 Bangladesh lose terminal but win hearts

The wait was almost over, but for two runs in the end. Bangladesh - who dreamt of filling their trophy cabinet with their first silverware in international cricket - will feel the hollow. It will take days, perhaps months, for their cricketers to come out of this Asia Cup loss. But the Bangladesh tigers haven't let their nation down and went down fighting until the last ball was bowled.
First they beat Sri Lanka and then killed another giant in the form of World Champions India, and even in the two games they went down to Pakistan, including the final, they came agonisingly close. So coming out as second best in a tournament that included the World Cup winners, World Cup finalists and World Cup semi-finalists is no mean feat.
AP Photo
And Bangladesh skipper Mushfiqur Rahim echoed those sentiments, while ruing the loss of crucial wickets in the final.
"Before the tournament, we had great preparation. The boys stuck to the plans. We played good in the tournament, I thought. But the wickets of Shakib and Tamim were the turning point tonight," the Bangladesh skipper said after losing the final in a last-ball cliffhanger.
"The wicket is a bit slowish; it's not easy to score runs. Tamim and Shakib played well. We gave away some runs in the last over [of Pakistan innings]; that was crucial.
"It's been a great tournament for Shakib, Tamim, Mashrafe, Razzak and Nasir. We fought in all the games and we achieved a lot in this tournament," Rahim added.
While Tamim Iqbal, who was originally not included in the squad, hit four consecutive half-centuries, Shakib was Rahim's go-to man throughout the tournament, both while batting and bowling. And quite deservingly, the former World No. 1 allrounder was named the Man of the Series.
"If we look at the overall tournament, we were terrific," Shakib said after the final, adding, "The teamwork has been terrific. The way the crowd supported us was fantastic too. Hopefully we'll kick on from here," Shakib said.
The last sentence there by Shakib is actually key to how Bangladesh go from this magnificent performance.
"If I had scored two more runs, we would have won the game. We came so close to win the Asia Cup. We'll take the positives from this series and move on from there," he said.
Meanwhile, the moment was no way a small feat for Pakistan, who clinched their second Asia Cup title after a hiatus of 12 years. It was not only a winning start for their new coach Dav Whatmore but also a moment to cherish for a relatively young team that is trying to bury the spot-fixing ghost.
"Wonderful victory, well fought by all guys. The youngsters came in and contributed well. Hammad Azam played well, Sarfraz's innings was a vital one for us. It was a good team effort," skipper Misbah-ul-Haq said.
"This wicket was a little different from the other ones; it was slow. We were hoping that around 225-230 would be a fighting score. The spinners bowled very well. The pacers did well in the end," an ecstatic Misbah said.
Bangladesh's performance won many hearts, including in their rival camp.
"Bangladesh played wonderfully well. This is really a new Bangladesh team and they are really the winners," Misbah lauded.
Shahid Afridi, too, was all praise for his neighbours. "Bangladesh really played well; they played awesome cricket. They always surprise and give a tough time to the top teams. The credit goes to guys like Shakib and Nasir; they really played some good cricket.
After this superb show, all Bangladesh will want is consistency coming into their game, which will stamp their entry into the league of big men.

NZ vs SA Kallis out with inflexible neck; New Zealand earth

New Zealand captain Ross Taylor won the toss and chose to field after a wet outfield delayed play by three-and-a-half hours in Wellington. A green-tinged Basin Reserve surface will encourage New Zealand despite them naming only three fast bowlers, as they need to win the final Test of the home summer to salvage a series draw.
The hosts opted to bolster their batting after failing to breach 200 in either innings in Hamilton, with seam bowler Brent Arnel making way for Dean Brownlie, who returns from injury.
Daniel Flynn's prolific first-class season has earned him a Test recall after two years out of the side and although he bats in the middle order for his province, he is likely to step into the opener's position left vacant by the struggling Rob Nicol.
South Africa, meanwhile, have named an all-pace attack with Imran Tahir making way for Marchant de Lange. The tactic is an interesting one, given the conditions at the Basin Reserve, where a spinner is traditionally named to bowl into the howling northerly wind. But with Jacques Kallis also unavailable with a stiff neck, the visitors have strengthened their fast-bowling stocks for the seam-friendly pitch. JP Duminy slots into the middle order in Kallis' place.

New Zealand:1. Martin Guptill, 2. Daniel Flynn, 3. Brendon McCullum, 4. Ross Taylor (capt), 5. Kane Williamson, 6. Dean Brownlie, 7. Daniel Vettori, 8. Kruger van Wyk (wk), 9. Doug Bracewell, 10. Mark Gillespie, 11. Chris Martin

South Africa: 1. Graeme Smith (capt), 2. Alviro Petersen, 3. Hashim Amla, 4.AB de Villiers, 5. JP Duminy, 6. Jacques Rudolph, 7. Mark Boucher (wk), 8. Vernon Philander, 9. Dale Steyn, 10. Morne Morkel, 11. Marchant de Lange.

Asia Cup-2012 It was sorrowfull night for Banglades

Shakib & Musfiq are crying
Pakistan ended brave Bangladesh’s dream run to clinch the Asia Cup title for the second time as they held their nerve in nail-biting moment to edge past the hosts by just two runs in a dramatic final at Sher-e-Bangla National Cricket Stadium on Thursday. Like the league match, they gave a mighty scare to Pakistan but it was again so near, yet so far case that left the adoring full house crowd and the players tearing. It came as a huge blow for the nation which was preparing to celebrate the biggest moment of cricket history as Bangladesh had every chance to win the match till the final ball.
Pakistan also won their maiden Asia Cup in Dhaka in 2000, while India became champions for five times and Sri Lanka for four times.
As the bowlers laid a solid platform with holding back Pakistan to 236 for nine, Bangladesh sniffed to create an epic history. Once again Tamim Iqbal was solid in upfront while Shakib’s controlled aggression kept the match in Bangladesh’s grip but the dismissal of the Shakib and Mushfiqur Rahim’s in a quick succession came as huge blow. Pakistani spinners did a splendid job in the middle while pacer won the battle of nerves in the last moment to restrict Bangladesh to 234 for eight.
Bangladesh needed nine runs to win in the last over, but Aizaz Cheema, who was erratic bloomed with full glory in the crucial last over giving away just six runs to leave the whole stadium in grave silence. Tears were rolling down the cheeks of the fans and so as the players but yet it was a huge achievement for the country’s cricket which has been struggling to have an identity in world cricket. The 11th edition of Asia Cup earned world respect and evolved the Bangladesh to a formidable side.
President Zillur Rahman, Prime Minister Sheikh Hasina, Leader of the Opposition Begum Khaleda Zia and former president H M Ershad were present to watch the summit clash as the history beckoned Bangladesh.
Shakib Al Hasan was adjudged man of the tournament for his influential role to take Bangladesh in final and superb all-round performance. He scored 237 runs and hauled six wickets. Shahid Afridi, who blasted 22 ball-32 and also took one wicket with a measly bowling effort, was adjudged man of the match.
Tamim Iqbal, who was the highest scorer for Bangladesh with accumulating 253 runs, again put up top class batting braving his viral fever. His 60-run knock kept Bangladesh in hunt while Shakib blasted 68 to take Bangladesh close. However the lower order failed to give the finishing touch.
Earlier, with the opportunity alluring them to create another history, the rejuvenated bowlers refused to knuckle down, bowled with heart to restrict Pakistan to a manageable total. Sarfraz Ahmed’s unbeaten 46 runs proved crucial at the end so as the Shahadat Hossain last over which leaked 19 runs including two no balls and a wide.
Immediately after the prize giving ceremony a ten-minute colourful fireworks enthralled the crowd.
 
SCORECARD
 
Pakistan: 236 for 9 in 50 overs
Bangladesh innings:
Tamim c Younus b Gul 60
M Nazimuddin c Younus b Afridi 16
Jahurul c Younus b Ajmal 0
Nasir c Misbah b Gul 28
Shakib b Cheema 68
Mushfiqur c Jamshed b Cheema 10
M Mahmudullah not out 17
M Mortaza c Jamshed b Ajmal 18
A Razzak b Cheema 6
Shahadat not out 0
Extras (lb5, nb2, w4) 11
Total (for eight; 50 overs) 234
Fall of wickets: 1-68, 2-68, 3-81, 4-170, 5-179, 6-190, 7-218, 8-233.
 

BOWLING    O    M    R    W
M Hafeez        10    0    30    0
U Gul                10    2    65    2
S Ajmal             10    2    40    2
S Afridi             10    1    28    1
A Cheema           7    0    46    3
H Azam              3    0    20    0
 
Result: Pakistan win by two runs
Man of the match: Shahid Afridi (PAK)
Man of the tournament: Shakib Al Hasan (BAN)
musfiq is crying