নিয়তির পরিহাষে বরণ করে নিলাম চোখের জ্বল


এই বোবা কান্না কেউ শুনবেনা, রয়ে যাবে এই ক্ষত চিরকাল
 প্রতিটি বাঙ্গালির বুকে।


জমে থাকা নোনা জল যখন ছলকে বেরিয়ে এলো মুশফিকের চোখ বেয়ে, যখন মায়াবী বিভ্রমের আভাটুকু ছাপিয়ে সাকিব কেঁদে ফেললেন নীরবে, যখন পুরো গ্যালারি থেকে বোবা কান্নার গোঙানি শোনা যাচ্ছে; বুকে হাত রেখে বলতে পারবেন কি, তখন আপনিও লুকিয়ে চোখ মোছেননি, ক্ষরণ হয়নি ভেতরটা! অজান্তেই দুটি হাত এক হয়ে যায়নি প্রার্থনার জন্য। ১০ বলে ১৫, ৬ বলে ৯ করে শেষ বলটি পর্যন্ত স্নায়ু শক্ত করে রাখার পরও ২ রানের হারটা কাঁটার মতো গেঁথে থাকেনি! যে ক্ষণটি হতে পারত মহাকাল থেকে আলাদা করে রাখার মতো, যে রাতটি হতে পারত অমর এবং পার্থিব, সে রাতে পাকিস্তানের কাছে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট তুলে দিয়েছিলেন মুশফিকরা চোখের জলে। হয়তো ক্রিকেটের অঙ্কের কাছে ম্যাচটি দুটি রানের জন্য হেরেছেন এগারো বাংলাদেশি। কিন্তু ভুবন মোহিত হয়েছিল এই রাতে সাকিব-তামিমদের লড়াইয়ের জেদ দেখে। যুদ্ধের ময়দানে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মাটি আঁকড়ে পড়েছিলেন একদল বাঙালি। আর তাই, চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি বাংলাদেশ, এটা বলার কোনো উপায় নেই চ্যাম্পিয়ন হয়নি বলার আগে। হয়তো প্রথম হতে পারেনি বাংলাদেশ, হয়তো ট্রফি জিতে ইতিহাস গড়া হয়নি তামিমদের, কিন্তু এশিয়ার
দ্বিতীয় এখন বাংলাদেশই। স্বপ্ন পূরণ হয়তো হয়নি ঠিকই, নতুন একটা স্বপ্নের বুনন নিশ্চয় হয়েছে গত রাতে মিরপুরের ময়দানে। ক্রিকেটপ্রেমী বাংলাদেশিরা তাই দেবদাস হতে পারবেন না, নতুন প্রেমে উজ্জীবিত হয়েই জয়ধ্বনি দেবেন মুশফিকদের এ দলটিকে।
দিয়েও ছিল তাই। ম্যাচের পর যেখানে এসে শুধুই প্রশ্নবাণের মুখে পড়তে হয় মুশফিকদের। সেখানে এসে গত রাতে চ্যাম্পিয়নের বরণ শুভেচ্ছা পেয়েছিলেন মুশফিক। দেশি-বিদেশি সাংবাদিকরা উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিয়ে বদলে যাওয়া বাংলাদেশকেই চ্যাম্পিয়নের পুরস্কার দিয়েছেন। 'এত কাছে এসে হেরে যাব ভাবতে পারিনি। পুরো দেশ আমাদের দিকে তাকিয়ে ছিল। সবাই প্রার্থনা করেছিল, কিন্তু পারলাম না। সেটা মনে পড়তেই নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি। হয়ত সে কারণেই কেঁদে ফেলেছি। তবে এ হারার পর আমরা ড্রেসিং রুমে শপথ নিয়েছি এখান থেকেই শুরু হলো আমাদের নতুন যাত্রা। আর পিছিয়ে থাকব না আমরা।' চোখ দুটো তখনও লাল ছিল মুশফিকের। মুশফিকদের এ অবস্থা দেখে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররাও কিছুটা আবেগী হয়ে যান। কাঁদতে থাকা আনামুল হক বিজয়কে জাপ্টে ধরে সান্ত্বনা দিতে থাকেন আজমল। আফ্রিদি এসে বুকে জড়িয়ে নেন নাসির হোসেনকে। হাফিজ এসে মিডিয়ার সামনে বলে দেন ক্রিকেটের নতুন এক শক্তির জন্ম হলো যার নাম বাংলাদেশ। 'সারা বিশ্ব ফাইনালের মতো একটা ফাইনাল দেখেছে। শেষ ওভারগুলো আমাদের বোলাররা নার্ভ শক্ত রেখে ম্যাচ জিতিয়েছে। বাংলাদেশও দেখিয়ে দিয়েছে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে জানে।'
নিজেরা একটু ধাতস্ত হয়ে প্রিয় ক্রিকেটাদের সান্ত্বনা দিয়েছিল মিরপুরের গ্যালারিও।
চোখ মুছে যখন সাকিব সিরিজ সেরার পুরস্কার নিতে এসেছিলেন, তখন মনভাঙা গ্যালারিও সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে 'সাকিব ... সাকিব...' ধ্বনি তুলেছিল। শেষ ওভারে যখন মাহমুদুল্লাহ আর আবদুর রাজ্জাক আইজাজ চিমার চোখের দিকে তাকিয়ে হাত শক্ত করে ব্যাট ধরেছিলেন, তখন মাঠে উপস্থিত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ জিল্লুর রহমানের পাশে বসে থাকা প্রধানমন্ত্রীর হাতও টেনশনে গালে ভর দিয়েছিল। বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াও ছিলেন দ্বিতীয় ইনিংসের সময়। গোটা দেশই সঙ্গে ছিল মুশফিকদের। পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকা ম্যাচটিকে দু'হাতের তালু দিয়ে ষোলো কোটি বাংলাদেশিই বাঁচিয়ে রেখেছিল। যখন সাকিব আউট হয়ে গেলেন তখনও ৩৮ বলে ৫৮ রানের দরকার ছিল। ভরসা ছিল মুশফিকে। আজমলকে একটা বাউন্ডারি মেরে যখন মুশফিকও প্যাভিলিয়নে ফিরলেন, তখনও মনটা শক্ত ছিল মিরপুরের গ্যালারির। আশা ছিল মাহমুদুল্লাহকে নিয়ে। উমর গুলের এক ওভারে ১৪ রান নিয়ে মাশরাফি আশাটা জীবন্ত করে তুলেছিলেন। মিরপুরের আকাশ কাঁপিয়ে গোটা বাংলাদেশই তখন প্রকম্পিত হয়েছিল, কিন্তু ৯ বলে ১৮ রান করা মাশরাফি আউট হয়ে যেতেই বোবা হয়ে যায় সবকিছু। ১৪ বলে ১৯ রানটা তখনও খুব সম্ভব মনে হয়েছিল। মিসবাহ ,আফ্রিদি, আজমল আর গুল_ সবার মুখ আতঙ্কে লাল হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ১৬ বলে ১৪ রানের বেশি করতে পারেননি। নিজে স্ট্রাইক নিতে পারেননি। তারপরও শেষ ওভারে যখন চিমার একটি নো বল থেকে তিন রান চলে আসে, তখন মনে হয়েছিল সৌভাগ্যের রাত অপেক্ষা করছে বাংলাদেশিদের জন্য। শেষ বিকেলে আটকে থাকা একটি কাঁটা কিছুতেই আর বের করা যায়নি বাঘের গলা থেকে। শেষ ওভারে শাহাদাত হোসেন রাজিবের দেওয়া ১৯ রানটাই বাধা হয়ে দাঁড়াল ঐতিহাসিক একটি ঘটনার সাক্ষী হতে।
অথচ বাঘের মতোই হুঙ্কার দিয়ে দিনটি শুরু করেছিলেন মুশফিকরা। উইকেটে ২৩৬ রানের মধ্যেই বেঁধে ফেলেছিলেন পাকিস্তানিদের ইনিংস। এই রান তাড়া করতে নেমে অতি সতর্ক নাজিমউদ্দিন আদতে দলকে বিপদেই ফেলে দেন। হাফিজ থেকে শুরু করে উমর গুল, সাঈদ আজমল কিংবা আইজাজ চিমা_ কারও সামনেই পছন্দের ফ্লিক শট খেলতে পারছিলেন না নাজিমউদ্দিন। একবার এলবিডবি্লউর জোরালো আবেদন, আর একবার ক্যাচ থেকে লাইফ লাইন পেয়ে নাজিম যখন আউট হলেন, তখন তার নামের পাশে ১৬ রান, ৫২ বলের খরচে। রান টানের সংসারে নাজিমউদ্দিনের এই অতি সতর্কতা তামিমের ভেতরের জমে থাকা আগুন বাড়িয়ে দিয়েছিল। উমর গুলকে পয়েন্ট আর কভারের মধ্য দিয়ে বাউন্ডারি ছাড়া করে কব্জির জট খুলেছিলেন। এরপর একের পর এক পয়েন্ট আর এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে বাজির মতো চার ছোটাতে থাকেন। কিন্তু তাকে বিদায় নিতে হয় ৬৮ বলে ৬০ রানের একটি ক্লান্ত শট খেলে। তামিম ছাড়াও সাকিবের ৬৮ রানের ইনিংসটিতে জয়ের গন্ধ মাখা ছিল। কিন্তু আগের ম্যাচগুলোর মতো এদিনও সাকিব ফিনিশ করতে পারেননি। যিনি করতে পারতেন সে নাসির হোসেনকে এদিন যথেষ্ট ক্লান্ত মনে হয়েছে। শুরুতে পাকিস্তানি ফিল্ডাররা নাসিরের কিছু ভালো শট আটকে দিয়ে তাকে ঘাবড়ে দেন। এরপর সিঙ্গেলসও যেন বের করতে পারছিলেন না তিনি। ৬৩ বলে ২৮ রান করে নাসির যখন আউট হন, তখন দল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো অবস্থায় চলে গেছে। যে কি-না রক্ষা করতে পারতেন সেই মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ সেটা পারেননি। লোয়ার অর্ডারদের স্ট্রাইক কম রেখে নিজে বেশি নিতে পারেননি। এদিন ভাগ্যের সঙ্গে পাকিস্তানিদের কূটকৌশলও হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। শেষ ওভারে আইজাজ চিমা শরীর দিয়ে মাহমুদুল্লাহকে ঠেকিয়ে রেখেছিলেন দুই রান নিতে।
তবে অন্যের দোষ দিয়ে যন্ত্রণাটা কমানো যেতে পারে, অভিমানটা কিন্তু থেকে গেল নিজেদের ছেলে শাহাদাত হোসেন রাজিবের ওপরই। এমন একটা শোকের সমাপ্তির জন্য অনেকেই খলনায়ক বানিয়েছেন তাকে। অথচ দিনের শুরুটা হয়েছিল ভাগ্যের হাত ধরেই।
দুুপুরে যখন টস জিতে হাসি দিল, তখন রমিজ রাজাও জানতেন কী চাইবেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। আগের তিনটি ম্যাচে প্রথমে বোলিং করে প্রতিপক্ষকে যে ভয় ধরিয়েছিল বাংলাদেশ। সেটা জেনেই এদিনও জাতীয় সঙ্গীতের সুরে বুকে হাত রেখে নতুন বলটা তুলে দিয়েছিলেন মাশরাফির হাতে। প্রথম ওভারেই দুটি এলবিডবি্লউর আবেদনে কেঁপে উঠেছিল গ্যালারি। তাতে ইংলিশ আম্পায়ার গোল্ডের আঙুল নড়েনি। নাজমুলের একটি নিশ্চিত আবেদনও বাতিল হয়ে যায় আম্পায়ারের অদূরদর্শিতার কারণে। রিপ্লেতে পরিষ্কার ধরা পড়ে ৫ রানে থাকা মোহাম্মদ হাফিজের পা স্টাম্প ঢেকে রেখেছিল। আম্পায়ারের ন্যায়বিচারের জন্য তখন অপেক্ষায় না থেকে মাশরাফি নাসির জামশেদকে কাভারে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেছিলেন। পরের ওভারে নাজমুলও পাল্লা দিয়ে উইকেট শিকার করেছিলেন এবং সেটা যেনতেন উইকেট নয়, পাকিস্তানের ব্যাটিং স্তম্ভ ইউনিস খানকেই একটি ইনসুইঙ্গার দিয়ে এলবিডবি্লউ করেছিলেন নাজমুল। ১৯ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ায় পাকিস্তানিদের 'প্ল্যান ওয়ান' ভেস্তে যায়। যেখানে তারা প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে মাত্র ৪৩ রান তুলতে পারে। যার মধ্যে আবার একটা লাইফ লাইনও পেয়ে যান হাফিজ। মাশরাফির বলে পয়েন্টে ক্যাচ তুলেও জহুরুলের হাত ফসকে বেরিয়ে যান হাফিজ। মাশরাফি আর নাজমুল তাদের প্রথম স্পেল শেষ করার পর মুশফিক থলে থেকে রাজ্জাক আর শাহাদাত হোসেন রাজিবকে বের করে আনেন। রাজ্জাকের আর্মারগুলোই তখন বেশি বেগ দিয়েছিল পাকিস্তানিদের। ১০ থেকে ২২ ওভার পর্যন্ত কোনো বলই বাউন্ডারি পাঠাতে পারেননি কেউ। তবে সতর্কতার সঙ্গে সিঙ্গেল বের করে আনার ব্যাপারে যথেষ্ট মনোযোগী ছিলেন তারা। আর সেটা করতে গিয়েই পাকিস্তানি অধিনায়ক মিসবাহ-উল হককে রান আউট হতে হয় ১৩ রানে। পয়েন্ট থেকে পাখির মতো ছোঁ মেরে বলটা ধরেই সরাসরি থ্রো করে উইকেট ভেঙে দেন নাসির। মিসবাহর বিদায়ের পর ৮৭ বলে ৪০ রানে থাকা হাফিজকে মিড অনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন রাজ্জাক। প্রথম স্পেলে ৭ ওভারে তিন মেডেনসহ ১১ রান দিয়ে রাজ্জাক বোলিংয়ে বিশ্রামে যান।
অন্যদিকে শাহাদাতের হাফভলি বলগুলোকে তখন মজা করে গিলছিলেন হাম্মাদ আজম। নো বলের বোনাস ফ্রি হিট থেকেও ছক্কা হাঁকিয়ে বসেন হাম্মাদ। উমর আকমলও তার সঙ্গে ছক্কা হাঁকানোর ছন্দে মাতেন। সাকিবকে ডিপ মিড উইকেট দিয়েও বাইরে পাঠিয়ে দেন আকমল। দু'জনের এই জুটি অবশ্য ভেঙেছিলেন সাকিব। ৩০ রানে থাকা হাম্মাদ সুইপ করতে গেলে সাকিবের হাতেই ক্যাচ দিয়ে বসেন। সাত বল পর উমর আকমলও প্যাভিলিয়েনের পথ ধরেন। মাহমুদুল্লার বল লেগ স্কয়ারে ঠেলতে গিয়ে মুশফিকের গ্গ্নাভসে আটকা পড়েন আকমল। ১৩৩ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর কাঁপতে থাকা পাকিস্তানিদের মাঠের ১১ বাংলাদেশির সঙ্গে ছাবি্বশ হাজারের গ্যালারি চেপে ধরেছিলেন।
কিন্তু পেশাদারিত্বের চরমে পেঁৗছানো শহিদ আফ্রিদি দলকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে এসেছিলেন সাকিব আর রাজ্জাককে পরপর চারটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে। মাশরাফিকেও লং অফ দিয়ে ছক্কা ছাড়া করেছিলেন। অসাধারণ এই আফ্রিদিকে সাকিব থামিয়েছিলেন তার সাধারণ একটি ফুলটস বল দিয়ে। ২২ রানে ৩২ রান করা আফ্রিদি লং অফে নাসিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে জায়ান্ট স্ক্রিনের দিকে রিপ্লে দেখার জন্য ঘুরে তাকিয়ে হাঁটা ধরেন। ৪২ ওভারে ৭ উইকেট খোয়ানো পাকিস্তানের রান তখনও দুশ' হয়নি। এরই মধ্যে দুর্ঘটনা একটা ঘটে যায়। দলের অন্যতম প্রধান অস্ত্র নাজমুল পুরো রানআপ নিয়ে শেষ মুহূর্তে স্লোয়ার করতে গিয়ে গোড়ালি মচকে মাটিতে পড়ে যান। এরপর শেষ দুটি ওভারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল শাহাদাত হোসেন রাজিবের কাছে। টেলিভিশনে খেলা দেখা সব দর্শকই জানেন, ইনিংসের শেষ ওভারে কতটা বেহিসেবি পাড়ার বোলারদের মতো বোলিং করেছেন রাজিব। ফুলটস, হাফ ভলি, নো বল, রান আউট মিস_ কী করেননি তিনি ওই ওভারে। যার খেসারত দিতে হয় দলকে ১৯ রান দিয়ে।
বিরক্ত মুশফিক তখনই বলটি মাটিতে আছড়ে মেরে রাজিবের দিক থেকে চোখ সরিয়ে নিয়েছিলেন। মাশরাফি এসে পরে রাজিবকে ডেকেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সবাইকে জানিয়েছিলেন_ 'এক ওভারেই ম্যাচ শেষ হয়ে যায় না। আমরা পারব।
শেষ ওভারের যন্ত্রণাটা শেষ পর্যন্ত যন্ত্রণাই থেকে যায়। ৮ উইকেটে ২৩৪ রানে থেমে গিয়ে ভেঙে যায় বাংলাদেশের স্বপি্নল একটি রাত। এরপর মিরপুরের লেজার শো হলেও তাতে মায়া ছড়ায়নি, বাজির ফোয়ারেতেও রোশনাই ফোটেনি। যে মাঠ তীর্থস্থান হতে পারত মুশফিকদের জয়ে, মিরপুরের সেই মাঠকেই রাতে কমিউনিটি সেন্টার মনে হয়েছে। যেখান থেকে কাপ জিতে বাজি ফুটিয়ে দেশে চলে যাবে আফ্রিদিরা।

No comments:

Post a Comment